নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা মহানগরীর মিরপুরে এক নারী ব্যবসায়ীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ মামলা এফআইআর না করায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী হলেন- ঢাকা জেলার দোহার থানার চর কুশাই এলাকার মোজাফফর মিয়ার মেয়ে স্বর্ণালী আক্তার। উনি অনলাইনে গাজীপুরনহ সারাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সীর ব্যবসা করেন। অপরদিকে অভিযূক্ত প্রতারকরা হলেন- বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চিংগড়ী এলাকার হেদায়েত মুন্সির ছেলে সুমন মুন্সী ও তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন। তাদের পরিবার মিরপুরের পীরেরবাগ এলাকায় মুক্তি হাউজিং- ২ এর জেরিন ভিলার ৬ষ্ট তলায় বসবাস করে প্রতারণা করছে।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে দেখিয়ে প্রতারকরা প্রতারণা ও অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গের আশ্রয় গ্রহণ করে ১০লক্ষ টাকা এবং ডাচ বাংলা বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ২ লক্ষ ২২ হাজার ৯শত ৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রতারকদের কাছে টাকা চাইতে ভুক্তভোগীকে প্রাণ নাশের হুমখী প্রদান করে ভুক্তভোগীকে গত ২০ এপ্রিল বিকাল ৪ টা থেকে পরের দিন সকাল ১১ টা পর্যন্ত জোরপূর্বক অবৈধভাবে আটক করে রেখে ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এসআই উৎপলকে তদন্তের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত প্রতারকরা এঘটনা স্বীকার করলেও ফৌজদারী কার্যবিধির আইনের ১৫৪, পিআরবি ২৪৪ (ক) ধারার বিধান লঙ্ঘন করে এঘটনায় প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অনীহা মিরপুর থানার ওসির। মামলা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পুলিশকে অনুরোধ করলেও পুলিশ মামলা নেয় নি।
এঘটনায় মামলা না নেওয়ার বিষয়ে এ অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই উৎপল জানান, প্রতারণার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এবিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত রাজিব জানান, এঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।