মুন্নি আক্তার
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানা এলাকায় এক তরুণীকে জোর করে পালাক্রমে গণধর্ষণসহ রক্তাক্ত রগকাটা গুরুতর জখমের অপরাধে মামলা রুজু করতে অনীহা পুলিশের। গত সোমবার (০৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর মা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযূক্ত ব্যক্তিরা এই তরুণীকে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ তথা অবৈধভাবে অনৈতিক ব্যবসা করে প্রতিদিন অনেক টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। তাদের প্রস্তাবে ভুক্তভোগী নারী রাজি না হয়ে আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে অভিযূক্তরা ক্ষীপ্ত হয়। এই তরুণী জিএমপি সদর থানার শিববাড়ী মোড়-এ যাওয়ার পথে শিববাড়ী মন্দিরের পার্শ্বে পৌঁছিলে অভিযূক্ত বিবাদীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে পথরোধ করে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে টানা হেছড়া করে জোর করে এই মেয়েকে শিববাড়ী মন্দিরের পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তা দিয়া মিতালীপাড়ার ভিতরে পুকুরের উত্তর পূর্ব পার্শ্বে নিয়ে গিয়ে ৩/৪ জন মেয়েকে জোর করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এরপর এঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযূক্ত বিবাদীরা সকলে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ ও কাটা ক্ষত রক্তাক্ত জখম করে। এমনকি ধারালো চাকু দিয়া এই তরুণীর বাম হাতের কবজির উপর পাড় মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তরুণী কাত হয়ে পরে গেলে ধারালো সুইচ গীয়ার চাকু দিয়ে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে আমার বাম হাতের এবং ডান হাতের কজির উপরে পোচ মারিয়া পরপর ২টি গুরুতর ও রগকাটা রক্তাক্ত জখম করে। এরপর উপর্যুপরী ভাবে পিঠে পাড় মারিয়া অসংখ্য ক্ষত ও কাটা রক্তাক্ত জখম করে। একটি ১৮ হাজার টাকা দামের অর্কিড মোবাইল ফোন সেট নিয়া নেয়। মারপিটের ফলে এই নারী নিস্তেজ হয়ে গেলে মৃত ভাবিয়া পুকুরের ময়লার স্তুপের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গাজীপুর-এ গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগী নারী দরিদ্র অসহায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ঢাকা যাইতে পারে নাই। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর মা ৬/৭ জনকে আসামী করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ওসি বরাবরের একটি এজাহার দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ সিআরপিসি ১৫৪ পিআরবি ২৪৪ক ধারা লঙ্ঘন করে এই অভিযোগে মামলা রুজু করে নি।
এবিষয়ে সদর থানার এসআই মনির ও ওসি মেহেদীর কাছে জানতে চাইলে উনারা তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন।