ঢাকাMonday , 24 February 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর
Link Copied!

মোঃ মুজাহিদুল ইসলামঃ রাজধানীর মিরপুরেএক ব্যবসায়ীর জমি জবর দখলের চেষ্টা করেছে একটি চক্রী মহল। গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং বুধবার সকালে প্রায় দেড় শতাধিক দুর্বৃত্ত নিয়ে জমি নিজের ক্রয়কৃত সম্পক্তি দাবি করে জবর দখলের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরাতায় জাহাঙ্গীর হোসেনের সে চেষ্টা ব্যার্থ হয়। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ব্যাবসায়ী বায়েজিদ। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , পল্লবী থানাধীন দ্বিগুন মৌজার সিটি খতিয়ান-১৪৮৯ দাগ ৮৪০৭ এর মালিক আব্দুস সাত্তার মোল্লার কাছ থেকে ১৯৯৩ সালে জনৈক নুরজাহান ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তবে পরবর্তীতে সিটি জরিপে ভুলবশতঃ নুরজাহানের নামে ২৮.১৯ শতাংশ জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। নুরজাহান বেগম ১৯৯৮ সালে ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ-এর কাছে তার জমিটি বিক্রি করেন। ইষ্টার্ণ হাউজিং থেকে ব্যবসায়ী বায়েজিদ গং জমিটি ক্রয় করেন। ব্যবসায়ী বায়েজিদ ইষ্টার্ণ হাউজিং থেকে জমিটি বুঝে নিয়ে তার সীমানা প্রাচীর সহ সেখানে কাঁচাপাকা ভবন নির্মাণ করে ভোগদখল করছেন।

কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার সেই জমিটি নিজের ক্রয়কৃত সম্পক্তি দাবি করে দখলের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর নামের জনৈক ব্যক্তি। তার তথ্যানুশারে ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীর এই জমিটি ক্রয় করেছেন এবং সেই দলিলমুলে তিনি নামজারী ও খাজনা খারিজ করেন। একইসাথে বর্তমানে দখলকৃত ব্যবসায়ী বায়েজিদকে উচ্ছেদের প্রয়াসে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে ২০২৪ সালে একটি সিআর মামলাও করেন। বিষয়টির সঠিক সিদ্ধান্তে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিআইডিকে তথ্য সংগ্রহের আদেশ দেন। সে আদেশমতে সিআইডি পুলিশের এসআই মোঃ সজিব মিয়াকে তদন্তকারী অফিসার নিযুক্ত করেন। এসআই সজিব মিয়া তদন্ত করে গত ১৬/১/২০২৫ তারিখ আদালতে একটি রিপোর্ট দাখিল করেন।
দাখিলকৃত রিপোর্টে তিনি লিখেন, মিরপুর পল্লবী থানাধীন দ্বিগুন মৌজার এ জমিটি ১৯৯৩ সালে জনৈক আব্দুস সাত্তার মোল্লার কাছ থেকে ৭শতাংশ জমি মাদারীপুরের জনৈক নুরজাহান বেগম ক্রয় করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সিটিজরিপে ভুলবশতঃ ২৮.১৯ শতাংশ জমি নুরজাহান বেগমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালে নুরজাহান বেগম ইস্টার্ন হাউজিং লিঃ-এর কাছে তার জমি বিক্রি করেন। পরে ২০২০ সালে ইস্টার্ণ হাউজিং হতে কামাল হোসেন গং মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে সম্পত্তির খাজনা খারিজ করে ভোগ দখলে রয়েছেন। জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি উক্ত নুরজাহান বেগম তার কাছে জমিটি ২০১৮ সালে বিক্রি করেছেন। কিন্তু দলিলদাতা নুরজাহান বেগম তার মৃত্যুর পূর্বেই ১৯৯৮ সালে ইস্টার্ন হাউজিং এর নিকট এ জমিটি বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ী বায়েজিদ জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারী জাহাঙ্গীর হোসেন তার লোকজন নিয়ে জমিটি জবরষদখলের সুযোগ নেয়। সেদিন জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পল্লবী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থালে এসে বিষয়টি আদালত কেন্দ্রিক হওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেন এবং তার লোকজনকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। পরে এবিষয়ে পল্লবী থানায় বায়েজিদ একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে রবিবার দেখা যায়, সেই জমিটির কাছেই ইষ্টার্ণ হাউজিং কর্তৃপক্ষের কয়েকজন আনসার পাহারায় ঘোরাঘুরি করছে। আনসাররা জানান এখানে তারা পূর্ব থেকেই নিয়মিতই পাহারা দেন। জমিটির বসতঘরের মূল ফটকে আশরাফ উদ্দিন গং নামে একটি সাইন বোর্ড রয়েছে, পাশাপাশি দেয়ালে আদালতের একটি নোটিশ সাটানো রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর দেননি। এছাড়া ইষ্টার্ণ হাউজিং লিঃ এর জিএম শামিনের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।