স্টাফ রিপোর্টার- শ্রী সৌরভ মজুমদারঃ
গাজীপুর মহানগরীতে পূবাইলের এক গার্মেন্টসে গাড়ির ব্যাটারী চুরির দায়ে কারখানার নিরাপত্তা কর্মী ও জনতা ৫টি ব্যাটারীসহ হাতেনাতে চোর ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কিন্তু ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় থানার ওসির বিরূদ্ধে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনাটি ঘটে নগরীর পূবাইল থানার ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ ভুতেরবান এলাকার মিম পোশাক কারখানার সামনে।
জনতা ও কারখানা নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক চোরেরা হলেন একই এলাকায় বসবাসরত মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম(১৯), আসাদের ছেলে আনিস(২৩) ও মাসুদের ছেলে শাওন(১৯)।
জানা যায়, গত সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারী) দিন-দুপুরে পোশাক কারখানায় শ্রমিক পরিবহনে নিয়োজিত ৬ টি গাড়ির ব্যাটারি খুলে নিলে হাতেনাতে ৩ চোরকে ধরে ফেলে জনতা ও কারখানা নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পূবাইল থানার এসআই মাহামুদ হাসান জনি সঙ্গীয় কং ২২ নজরুল, ড্রাই কং ৬০৪ সাজন মিয়া এসে ৩ চোরকে থানায় নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে চোরদের আত্মীয়স্বজনদের সাথে পুলিশ রফাদফা করে প্রসিকিউশন মামলায় পরের দিন মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পুলিশ পুবাইল থানার ৩৬৪ নং জিডি মূলে মোবাইল ৬ ডিউটি করাকালে ১০ ফেব্রুয়ারী রাত ০৭:০৫ ঘটিকায় মীম গার্মেন্টসে যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত পার্কিং করা বাসের ভিতরে সন্দেহ জনকভাবে গ্রেফতারকৃত ০৩ চোর প্রবেশ করলে স্থানীয় জনতা হাতে নাতে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় চোরেরা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) জিএমপি অধ্যাদেশের ৮৭(গ) ধারায় ২০/২৫ নং ননএফআইআর প্রসিকিউশন মূলে আদালতে ৩ চোরকে সোপর্দ করেন। আদালতে ১ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে একই দিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে চলে যায় চোরেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ চুরির মামলার ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে গত মঙ্গলবার ননএফআইআর প্রসিকিউশন দিয়ে (জরিমানার মামলা) আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশের এই নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে চুর চক্রের সদস্যরা অপরাধ করতে আরো উৎসাহিত হবে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি করে। এতে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে পূবাইল থানার এসআই মাহমুদ হাসান জনির কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, কেউ অভিযোগ দায়ের না করায় প্রসিকিউশন দিয়ে ৩ চুরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। চোরাই মাল উদ্ধারের পর চুরির মামলা না দেওয়ার বিষয়ে ওসি স্যার জানে।
এসংক্রান্তে জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আমিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, জব্দ তালিকা ব্যাতীত চোরাই মাল উদ্ধার ও চুরির মামলা না দিয়ে পুলিশ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । তবে উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।