ঢাকাFriday , 14 February 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাংবাদিকের সাথে বিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নারী পুলিশের বিরুদ্ধে

ইয়াছিন গাজী
February 14, 2025 7:29 pm
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি-ইয়াছিন গাজী
সাংবাদিকের সাথে বিয়ে নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানায় কর্মরত নারী পুলিশ সদস্য রুবিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় নারী পুলিশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন দৈনিক বাংলাদেশের আলো ও দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আনোয়ার হোসেন।

জানা যায়, নারী পুলিশ রুবিনা আক্তার মাদারীপুর সদর থানার লক্ষীগঞ্জ এলাকার মোশারফ তালুকদারের মেয়ে। রুবিনা গাজীপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত থাকাকালে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা ১৬ আগস্ট ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। রুবিনা আক্তার কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উত্তীর্ণের পরীক্ষা দেবেন এ কথা ভেবে তাদের কোর্ট ম্যারেজ হলেও বিয়ের রেজিস্ট্রি কাবিন করা হয়নি। বিয়ের পর তারা মহানগরের জিএমপি বাসন থানার দক্ষিণ তেলীপাড়া এলাকার জনৈক আব্দুল হাইের বাড়ির দ্বিতীয়তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে একত্রে বসবাস করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর রুবিনা আক্তার বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে মাদারীপুরে তাদের বাড়ি নির্মাণ এবং সমিতির কিস্তি পরিশোধের জন্য প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। নারী পুলিশ রুবিনা মো. আনোয়ার হোসেনের নিকট হইতে বিকাশে ৩৭,০০০/- টাকা নিয়েছে কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তার আসল চেহারা প্রকাশ পায়। চলাফেরা ও কথা-বার্তায় তার সন্দেহ হতে থাকে। তিনি রুবিনার মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও সরাসরি ফোনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ, মেহেদী, রমজানসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অশ্লীল কথোপকথন এবং মেসেজ আদান-প্রদান ছাড়াও অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণ পান।
এ বিষয়ে তাকে বারবার নিষেধ করা হলেও রুবিনা উল্লেখিত ব্যক্তিদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন।

এবিষয়ে আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, অভিযোগ দাখিলের ১ বছর অতিবাহিত হলেও দৃশ্যমান বিভাগীয় শাস্তি মূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতাগণ। ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিকবার স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করেও পুলিশ সদস্য রুবিনাকে বিভাগীয় শাস্তি থেকে রক্ষার নিমিত্তে পায়তারা করা হচ্ছে।

অভিযূক্ত মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার নারী পুলিশ সদস্য রুবিনার কাছে জানতে চাইলে উনি তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে।

এবিষয়ে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ূন রশীদে কাছে জানতে উনার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নি।