ঢাকাMonday , 19 May 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভুয়া চিকিৎসার কাগজ সৃজন করে ৭লাখ টাকা যৌতুকের মামলা; ৬ লাখ আদায়

admin
May 19, 2025 2:34 pm
Link Copied!

  • পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রীকে টাকা না দিলেই থানায় অভিযোগ, মামলা দায়েরের হুমকী।

বিশেষ প্রতিনিধি

গাজীপুর ও কুড়িগ্রাম আদালতে ভুয়া চিকিৎসার কাগজ সৃজন করে ৭ লাখ যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টাসহ মারপিটে সাধারণ ও গুরুতর জখমের অপরাধ দেখিয়ে যৌতুক নারী নির্যাতনের পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করে ৬ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগ করেছেন তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন।

অভিযোগকারী সাদ্দাম হলেন- গাজীপুরের পূবাইল থানার হায়দরাবাদ এলাকার আঃ বারেক হাওলাদারের ছেলে। উনি কোনাবাড়ি থানার জরুন এলাকার চায়নিজ ব্যাটারী ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে।

জানা যায়, গত ০৫ ই মে ২০২৪ সালে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইসলামীক শরীয়ত মোতাবেক এই নারীর সাথে সাদ্দাম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের ০১ জন মেয়ে সন্তান রয়েছে। ঘর সংসার করা কালে এই নারী সাদ্দামের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টাসহ মারপিটে সাধারণ ও গুরুতর জখমের অপরাধ দেখিয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৫০/২৫ নং সিপি মামলা দায়ের করলে বিচারক এ.কিউ.এম নাছির উদ্দীন কোনাবাড়ি থানার ওসিকে এই ঘটনায় সিপি মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে গত রবিবার (০২ মার্চ ২০২৫) জিএমপি কোনাবাড়ি থানায় ১নং মামলাটি রুজু করা হয়। এর আগে এই নারী একই অপরাধ দেখিয়ে যৌতুক আইনে কুড়িগ্রাম জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতে ২০২৪ সালে ১৭১ নং সিআর মামলা দায়ের করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই নারী সাদ্দামের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টাসহ মারপিটে সাধারণ ও গুরুতর জখমের অপরাধ দেখিয়ে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসার জাল কাগজ বা রোগীর ছাড়পত্র দাখিল করে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৫০/২৫ নং সিপি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে এই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জখমীর চিকিৎসা সনদপত্রে উল্লেখ করেন, “ভিকটিম এই নারী গত ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ রেজিষ্ট্রেশন ৪২২৩০৫ নং মূলে উক্ত জখমীর নাম পুলিশ কেইস রেজিস্ট্রারের অন্তর্ভুক্ত নাই। বিধায় জখমীর চিকিৎসা সনদপত্র প্রেরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। একই ঘটনায় গাজীপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার আদালতে যৌতুকের অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করে সাদ্দামের কাছ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখায় এই নারীর একাউন্টের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা আদায় করেছে।

যৌতুকের মামলায় হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী সাদ্দাম জানান, শিশির নামের এক তরুণের সঙ্গে এই নারী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে অবাধ্য ও উশৃংখল আচরন করে। সাদ্দাম তার স্ত্রীকে সংশোধন করার চেষ্টায় সানজিম শিশিরের সাথে যোগাযোগ করিতে নিষেধ করে। এতে এই নারী ক্ষীপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলাসহ ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে। সাদ্দামের অনুপস্থিতির সুযোগে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা পয়সাসহ সানজিম শিশির এই নারীকে নিয়ে চলে যায়। উনি নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি করেন।

নারী নির্যাতনের মামলার বাদী এই নারী জানান, গাজীপুর ও কুড়িগ্রামে একই ঘটনা নিয়ে পৃথক পৃথক যৌতুক নারী নির্যাতনের মামলা করে সাদ্দামের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। কিছুদিন পর সাদ্দামকে ৭০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। চিকিৎসার জাল কাগজ তৈরি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। শিশির তার বান্ধবীর স্বামী এবং তার মামলার স্বাক্ষী। সাদ্দাম উনার বিরুদ্ধেও যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেছিল।

এবিষয়ে কোনাবাড়ি থানার এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, উনি নারী নির্যাতন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ভিকটিম এই নারীর জখম সংক্রান্তে দাখিলকৃত চিকিৎসার কাগজটি মিথ্যা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন দ্বারা জানা গিয়েছে, এই নারী আদালতে দাখিলকৃত হাসপাতালের চিকিৎসার কাগজটি সঠিক নয়।