মোঃ আনোয়ার হোসেন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ও গাজীপুর কোনাবাড়ী থানার সাবেক (ওসি) মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও গোয়েন্দা পরিদর্শক সহ ৪ পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগষ্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজ ছাত্র মোঃ হৃদয় হত্যার মামলার আসামি ছিলেন তারা। কিন্তু এই হত্যার ঘটনার সময় গ্রেফতারকৃতদের সাথে থাকা কনস্টেবল শাকিবসহ জড়িতরা অনেকেই গ্রেফতার না হয়ে ধরা ছোয়ার বাহিরে।
বৃহস্পতিবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম তাদের ওসি সহ ৪ পুলিশকে গ্রেফতার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করা হয়। পরে ভাঙ্গা থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা সাবেক পরিদর্শক ও দুই কনস্টেবল সহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী মাসে তাদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়।
কারাগারে পাঠানো পুলিশ সদস্যরা হলেন, বর্তমান ভাঙ্গা থানার ওসি ও সাবেক গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা সাবেক পরিদর্শক এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল ফাহিম হাসান ও কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান সজীব।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের (২০২৪) সালের ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মোঃ হৃদয়কে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসি সহ ৪ পুরিশ সদস্য আসামী করা হয়।
গাজীপুরে সংঘটিত হৃদয় হত্যা সংক্রান্ত মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজ ২৭ ফ্রেব্রয়ারী ট্রাইব্যুনালে ডিবি পুলিশ কতৃর্ক তাদেরকে হাজির করা হয়। পরে ট্রাইব্যাল ওসি সহ ৪ পুলিশ সদস্যকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এখানে ফরিদপুর ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম আছে। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর ডিবিতে কর্মরত ছিল।
সুত্রে আরো জানা যায়, বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলামকে ফরিদপুর এসপি অফিসে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয় নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বর্তমানে ভাঙ্গা থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়েছে। সে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।