ইয়াছিন গাজী:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার ৪৬ নং ওয়ার্ড কেরানীর টেক বস্তির একাধিক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলেও অলৌকিক ক্ষমতার কারণে মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কে এই মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা ? কারিমা কেরানীরটেক বস্তির মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল কাদিরের মেয়ে। শুধু কারিমা নয় তার আপন বোন রুনা বড় ভাই আমির হোসেন বাবা আঃ কাদির মিয়া সহ পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে টঙ্গীসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা।
টঙ্গীর কেরানিরটেক বস্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কারিমা টঙ্গীতে বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত এবং মাদকের গড ফাদার হিসাবেও খুব পরিচিত। কিছুদিন আগে যৌথ বাহিনীর অভিযানে রুনা গ্রেফতার হলেও কারিমা রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাহিরে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, কারিমা, রুনা, কাদির এর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবা খুচরা বিক্রি করে থাকে। ইতিমধ্যে মাদক ব্যবসা করে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। টঙ্গীতে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অন্তত ১৩ টি বাড়ি এবং নামে বে নামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। কারিমার নামে বেনামে রয়েছে হোটেল ও ইজ্জতপুরে কয়েক বিঘা সম্পত্তি। মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা, কাদিরসহ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি এলাকাবাসী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার পরিচয় চলে তাদের এই মাদক ব্যবসা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে, কথিত সাংবাদিক শামীমা খানম বেবী সহ কয়েক জন কথিত সাংবাদিক এর শেল্টারে চলে এই মাদক ব্যবসা। এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের একটাই দাবি মাদক সম্রাঞ্জী কারিমার পরিবার টঙ্গীতে সব থেকে বেশি মাদক ক্রয় বিক্রয় করছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রশাসনে নিকট জোর দাবি কারিমার পরিবার ও তাদের আশ্রয় দাতাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ বলেন আমার থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে।