মোঃ আনোয়ার হোসেন
জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল সানোয়ারের বিরুদ্ধে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। তাকে গ্রেফতারে অনীহা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের।
এমনকি রাহেলা খাতুন গত ২০২৪ সালের ০৯ অক্টোবর ৩৩৪৬/৬৪১ নং স্মারকে জামালপুর জেলায় কর্মরত কনস্টেবল/ সানোয়ার এর বিরুদ্ধে ব্যভিচার, যৌতুক, বহু বিবাহ, নারী কেলেংকারি, অর্থ আত্মসাৎ করার অপরাধে জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার বরাবরে বিভাগীয় অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু কনস্টেবল/ সানোয়ারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ সুপার।
জানা যায়, “কনস্টেবল/ সানোয়ার ২০০৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করে। এরপর কাবিননামা রেজিষ্ট করে (১ম স্ত্রী- রাহেলা, ২য় স্ত্রী-আশা) ২ টি বিয়ে করে, যাহ পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩ এর ১০৬ বিধি এর ভাষ্য এবং মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ আইন, ১৯৬১ এর ০৬ বিধি সু-স্পষ্টভাবে লঙ্গনের সামিল। এই কনস্টেবলের ১২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সানোয়ার তাহার স্ত্রী- সন্তানকে কোনো ধরণের ভরণপোষণ প্রদান করেন নাই যাহ এবং মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ আইন, ১৯৬১ এর ০৯ বিধি মোতাবেক অপরাধের সামিল। সে নারী লোভী, খারাপ প্রভৃতির লোক।” এইরূপ একজন নারী লোভী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অভিযোগ দাখিল করিলেও দৃশ্যমান কোনো ধরণের শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। এমনকি”রাহেলা খাতুন তাহার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় অভিযোগ দাখিল করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবৈধভাবে ম্যানেজ করে বিভাগীয় অভিযোগ দাখিল করার ০৬ (ছয়) দিন পর অভিযুক্ত কনস্টেবল/সানোয়ার এর তৎকালীন নিকটছ পুলিশ অফিসার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) এর নামে বিভাগীয় অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য হাওলা করার ব্যবস্থা করেন। যাতে নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রে আইসি অভিযুক্ত কনস্টেবলের দ্বারা কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত হয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল এর স্বপক্ষে বিভাগীয় অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিল করিতে পারে।
কিন্তু বিভাগীয় অভিযোগ সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (এএসপি থেকে ততর্ধ্ব পদের অফিসার দ্বারা অনুসন্ধান/তদন্ত করিয়া থাকেন। কিন্তু জামালপুর জেলায় কয়েকজন বিসিএস পুলিশ অফিসার থাকা সত্ত্বেও রাহেলা খাতুনের অভিযোগটি নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের আইসি দ্বারা তদন্তের বিষয়টি আশ্চর্যজনক এবং এই বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করার প্রেক্ষিতে একাধিক দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষ্য গালিগালাজ (যাহা লিপিবদ্ধ করার অযোগ্য) এবং মিথ্যা মামলাসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। যাহা সু-স্পষ্টভাবে পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩ এর ৩৩ বিধি লঙ্ঘনের সামিল।
গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে ইসলামপুর থানার ওসি কে একাধিকবার ফোন করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন সাড়া দেন নি।