ইয়াছিন গাজী:
গাজীপুর মহানগরীতে এক তরুণীকে ধর্ষণসহ রগকাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখমের অপরাধে এজাহার নামীয় আসামী পপি ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাকে গ্রেফতারে অনীহা সদর থানা পুলিশের।
জানা যায়, অভিযূক্ত নারী পপি বিভিন্ন মেয়েদের দ্বারা অসামাজিক কার্যকলাপ তথা অবৈধভাবে অনৈতিক ব্যবসা করে প্রতিদিন অনেক টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। তাদের প্রস্তাবে এক ভুক্তভোগী তরুণী রাজি না হয়ে আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে অভিযূক্তরা ক্ষীপ্ত হয়ে এই তরুণীকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এরপর জিএমপি সদর থানার শিববাড়ী মোড়-এ যাওয়ার পথে শিববাড়ী মন্দিরের পার্শ্বে গেলে অভিযূক্তরা বেআইনী জনতাবদ্ধে এই তরুণীকে পথরোধ করে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে টানা হেছড়া করে জোর করে এই মেয়েকে শিববাড়ী মন্দিরের পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তা দিয়া মিতালীপাড়া এলাকার ভিতরে পুকুরের উত্তর পূর্ব পার্শ্বে নিয়ে গিয়ে মিনহাজ ধর্ষণ করে। এরপর বিবাদীরা সকলে পরস্পরের উপস্থিতিতে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী ভাবে কিল ঘুষি চর থাপ্পর মারিয়া এবং ছুরিকাঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ ও কাটা ক্ষত রক্তাক্ত জখম করে। ধারালো চাকু দিয়া আমার বাম হাতের বাজুর উপর পাড় মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। কাত হইয়া পরিয়া গেলে ধারালো সুইচ গীয়ার চাকু দিয়া পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে আমার বাম হাতের কব্জির উপরে এবং ডান হাতের কজির উপরে পোচ মারিয়া পরপর ২টি গুরুতর ও রগকাটা রক্তাক্ত জখম করে। এরপর উপর্যুপরী ভাবে পিঠে পাড় মারিয়া অসংখ্য ক্ষত ও কাটা রক্তাক্ত জখম করে। একটি ১৮ হাজার টাকা দামের অর্কিড মোবাইল ফোন সেট নিয়া নেয়। মারপিটের ফলে এই তরুণী নিস্তেজ হয়ে গেলে মৃত ভাবিয়া পুকুরের ময়লার স্তুপের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গাজীপুর-এ গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ প্রেরণ করেন।
এঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা ৬/৭ জনকে আসামী করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা রুজু করার পর তাৎক্ষণিক সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই-আলমের দিকনির্দেশনায় সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান পিপিএম এবং এসআই মনির হোসেন(২) এর নিরলস প্রচেষ্টায় এই তরুণীকে ধর্ষণ করার অপরাধে মিনহাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের সাথে পপির গভীর সম্পর্ক থাকায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না। এমনকি তাকে গ্রেফতারে পুলিশ কোন অভিযান পরিচালনা করে নি। এবিষয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পপিসহ তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন যাবত সদর থানা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ জনক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। যেকোন অপরাধ জনক কাজ করতে আইনের কোন তোয়াক্কা করে না।
এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার এসআই মনির হোসেন জানান, ধর্ষণ সংক্রান্তে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পপিসহ জড়িতদের দ্রত গ্রেফতার করা হবে।