নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর রাষ্ট্রীয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও গাজীপুরে কোন রুপ পরিবর্তন আসেনি। গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর এক মাদক ব্যবসায়ী টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসির সাথে দেখা করতে কেন আসছে এবিষয়ে তথ্য চাওয়ায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সাংবাদিক আনোয়ারের একাউন্ট রিমোভ করেছে কমিশনারের স্টাফ অফিসার এএসপি তানভীর।
জানা যায়, টঙ্গীর মাজার বস্তির মাদক ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন দাবারু পক্ষ থেকে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল প্রতি সপ্তাহে নির্বিঘ্নে মাদক কারবার করার জন্য টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসির সাথে দেখা করতে আসে। রুবেল প্রতি সপ্তাহে ওসির সাথে কেন দেখা করতে আসে জানতে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ও অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করলে জিএমপির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ক্ষীপ্ত হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক জানান, শাহাবুদ্দিন দাবারুর পক্ষে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল প্রতি সপ্তাহে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দারকে ৩ লাখ টাকা, প্রতি এসআইকে ১০ হাজার টাকা করে, প্রতি এএসআইকে ৫ হাজার টাকা করে উৎকোচ দিয়ে থাকে। একারণেই টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ মাজার বস্তি এলাকায় কোন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করতে অনীহা।
আনোয়ার জানায়, মাদক নির্মূল করতে কঠোর নির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে সংবাদ প্রচার করায় গণমাধ্যমকর্মী ও গাজীপুর সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেনকে মিথ্যা মামলার হুমকী দিয়ে আসছে। এমনকি পুলিশ আনোয়ারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বাদী ছাড়াই ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তিকে বাদী সাজিয়ে মিথ্যা মামলা রুজু করেছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু ছাঈদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় বাদীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য নোটিশ প্রেরণ করে। কিন্তু নোটিশ জারি করার দায়িত্বে থাকা এসআই রাশেদ গত ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী ১৪৭১ নং স্বারকে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, বাদী ইব্রাহীম সদর থানা এলাকায় থাকে না।
জিএমপি'র মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের রিমোভ করা সংক্রান্তে কমিশনারে স্টাফ অফিসার তানভীরের কাছে জানতে চাইলে উনি তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : হাসান জাকির
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ আনোয়ার হোসেন
০১৭১৫০৩১৬৫৫
অফিস- চান্দনা চৌরাস্তা, আমান্তা টাওয়ার, বাসন থানা, গাজীপুর।