মোঃ রাজু আহমেদ:
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার কলাপট্টি এলাকায় পিওর লাইফ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী (৪০) যৌন নিপীরনের শিকার হয়েছে। গত সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযূক্তরা হলো- এই হাসপাতালে কর্মরত মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওয়াসিম@মহসিন ও এক সেবিকা।
যৌন নিপীড়নের শিকার এই নারী গণমাধ্যমকে জানান, এই হাসপাতালের চিকিৎসক মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কমল কর্মকারের কাছে এই নারী চিকিৎসা নিতে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে এই নারী ইসিজি পরীক্ষা করতে হাসপাতালের কাউন্টারের ইসিজি করাতে ভিল পরিশোধ করার পর সেবিকা ইসিজি করানোর জন্য হাসপাতালটির একটি কক্ষে নিয়ে যায় এবং এই নারীর পরিহিত কাপড় চোপড় খুলে উলঙ্গ করে। এসময় মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওয়াসিম@মহসিনন ইসিজির করানোর সরঞ্জামাদি এই নারীর শরীরে লাগিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে এই নারীর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে শ্লীলতাহানি করে। এই নারী চিকিৎসা চেচামেচি করলে তাকে হুমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এই হাসপাতালের মালিক এডভোকেট গুলজার হোসেন জানান, এঘটনায় জরুরী হাসপাতালে বসে উনি আলোচনা করতেছি। ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে যৌন হয়রানির অপরাধে অভিযুক্তকে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন কিনা’–এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাসপাতালের সুনাম রক্ষার্থে উনি নিজেই সমাধান করবেন। প্রয়োজন হলে পুলিশে দিবেন।
এসংক্রান্তে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, এঘটনা অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এঘটনায় হাসপাতালটির বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সংক্রান্তে গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মামুনুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নি। হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেন নি।