বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে অপরাধ দমন, জনগণের নিরাপত্তা ও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের সৃজনশীল কাজে নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করার দাবি দেশের প্রতিটি নাগরিকের। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ ও পেশাদার সংস্থায় পরিণত করতে কাজ করছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদ। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনীহা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের।
জানা যায়, ৫ই আগস্টের পূর্বে সদর জোনে কর্মরত থাকাকালীন এই পুলিশ অফিসারসহ আরো অনেকেই জিএমপি সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদ নির্দেশে সদর থানার সাবেক ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম রাফির নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতাকে দমনে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছিল। বাসন থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও অলৌখিক ক্ষমতায় এই পুলিশ অফিসার গ্রেফতার হয় নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশের এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের আমলে চাকুরীতে যোগদান করেন। আওয়ামীলীগের অনুসারী হয়ে গাজীপুরের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। আওয়ামীলীগের দোসর পুলিশের এই কর্মকর্তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি স্থানীয়দের।
এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের ঊপ-পুলিশ কমিনার নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে উনি ফোন রিসিভ করে নি।