ঢাকাFriday , 10 October 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেত্রকোনায় এক নারী সাংবাদিক কে নির্যাতন, প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ

Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি-মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম:

‎নেত্রকোণায় এক ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দানকারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, মানহানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নারী সাংবাদিক আইরিন আলিফ। তিনি বর্তমানে আই পি টেলিভিশন বঙ্গ টিভির রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত।এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তিনি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি হলেন গোলাম শাহাদাত খান তিনি নেত্রকোনা জেলার নেত্রকোনা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বোলাইনগুয়া গ্রামের মৃত ফৌজদার খানের ছেলে। তিনি সাপ্তাহিক তালাশ প্রতিদিন নামক একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন।

‎অভিযোগ পত্রে সাংবাদিক আইরিন আলিফ উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘ চার বছর ধরে জয়নগরস্থ বনবিভাগ অফিস সংলগ্ন গোলাম নওরোজ খান সুবোধের বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে সুবোধের ছোট ভাই গোলাম শাহাদাত খানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শাহাদাত নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে তার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা বা সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রথমে তাকে সঙ্গে না নিলেও, স্থানীয়দের অনুরোধে সাময়িকভাবে সহযোগিতা করেন আইরিন।

‎আইরিন আলিফ আরও জানান, শাহাদাতের আর্থিক অসচ্ছলতা দেখে তিনি নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা দিতেন। এমনকি তার একাকিত্ব দূর করতে বিয়ের পরামর্শও দেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় শাহাদাতের বিয়ের সমস্ত খরচ বহন করেন তিনি ও তার বন্ধুরা। কিন্তু বিয়ের পর শাহাদাত নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন এবং আইরিনের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ দাবি করতে থাকেন। দাবীকৃত অর্থ না পেয়ে তিনি অসদাচরণ, অপমান ও একাধিকবার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশি সহায়তায় আইরিন তার মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত হন। বর্তমানে শাহাদাত মিথ্যা মামলা দায়ের ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাকে হয়রানি করে আসছেন বলে দাবি করেছেন আইরিন আলিফ। তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করছেন। তার কারণে আমি সাংবাদিকতা পেশায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছি এবং মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে নিজের নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও পেশাগত স্বাধীনতা রক্ষায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।

‎এ বিষয়ে গোলাম শাহাদাত সোহেল বলেন, আমি তাকে নিজের সন্তানের মতো ভেবেই অনুচিতভাবে হাত তুলেছি, যা আমার ভ্রান্তি। তিনি আমার সন্তান না, এই বাস্তবতা আমি মেনে নিয়েছি, আর তার ফলে তিনি চলে গেছেন। আমি যে মামলা করেছিলাম তা মিথ্যা ছিল, তা কেবল ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছিল। তিনি আমার ও আমার স্ত্রী মারিয়ার’ নম্বর ব্ল্যাকলিস্ট করেছেন, যা আমি সহ্য করতে পারছি না। তিনি যদি একবার ফোন করে কথা বলেন, আমি সব মামলা প্রত্যাহার করে পরিস্থিতি মীমাংসা করতে প্রস্তুত আছি। তিনি আরো বলেন যে এ কথা সত্য আমি নিউজ লিখতে পারি না। তবে আমি ক’খ’গ’ঘ’ ও অ’আ’ পারি চেষ্টা করলে আমি নিউজ লিখতে পারবো তবে আমি চেষ্টা করেও পারি না এটাই আমার ব্যর্থতা এটা আমি স্বীকার করি। উনি আমাকে সহযোগিতা করেছে এখন আমাকে নিয়ে কাজ না করায় আমি সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি তাই উনাকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে একের পর এক অভিযোগ ও টাকার বিনিময়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে উনার মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

‎অভিযোগ প্রসঙ্গে বাড়ীর মালিক গোলাম নওরোজ খান সুবোধ বলেন, আইরিন আলিফ আমার বাসায় দীর্ঘদিন ভাড়া ছিলেন। তিনি ভদ্র ও সৎ মানুষ ছিলেন। আমার ছোট ভাই অহেতুক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এটি অমানবিক।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ‎স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আইরিন আলিফ সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তার নামে একের পর এক মিথ্যা পরিকল্পিত মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বিষয়টি সত্যিকার অর্থেই অমানবিক।

‎নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।