নিজস্ব প্রতিবেদক
জিএমপির সাবেক পুলিশ লাইন্স বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানায় কর্মরত নারী পুলিশ সদস্য রুবিনা আক্তার ও দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন (সৌরভ) এর বিয়ে নিয়ে নারী পুলিশ কর্তৃক প্রতারণা শুরু হয়েছে। আনোয়ার হোসেন (সৌরভ) এর দাবি তারা বিয়ে করেছেন; তবে রুবিনা আক্তার তা অস্বীকার করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. আনোয়ার হোসেন (সৌরভ) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার মোক্ষপুর এলাকার মোঃ আঃ আউয়ালের ছেলে আর রুবিনা আক্তার মাদারীপুর সদর থানার লক্ষীগঞ্জ এলাকার মোশারফ তালুকদারের মেয়ে। নারী পুলিশ কনস্টেবল রুবিনা আক্তার জিএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত থাকাকালে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা ১৬ আগস্ট ২০২২ সালে গাজীপুর কোর্টের এডভোকেট সোলেমান মিয়ার মাধ্যমে ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট/নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে হুজুরের দ্বারা বিয়ে পড়াইয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। রুবিনা আক্তার কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উত্তীর্ণের পরীক্ষা দেবেন এ কথা ভেবে তাদের কোর্ট ম্যারেজ হলেও বিয়ের রেজিস্ট্রি কাবিন করা হয়নি। বিয়ের পর তারা গাজীপুর মহানগরের জিএমপি বাসন থানাধীন দক্ষিণ তেলীপাড়া এলাকার জনৈক আব্দুল হাইের বাড়ির দ্বিতীয়তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে একত্রে বসবাস করেন।
বিয়ের পর রুবিনা আক্তার বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে মাদারীপুরে তাদের বাড়ি নির্মাণ এবং সমিতির কিস্তি পরিশোধের জন্য প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। নারী পুলিশ রুবিনা মো. আনোয়ার হোসেনের নিকট হইতে বিকাশে ৩৭,০০০/- টাকা নিয়েছে কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তার আসল চেহারা প্রকাশ পায়। চলাফেরা ও কথা-বার্তায় তার সন্দেহ হতে থাকে। তিনি রুবিনার মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও সরাসরি ফোনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ, মেহেদী, রমজানসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অশ্লীল কথোপকথন এবং মেসেজ আদান-প্রদান ছাড়াও অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণ পান।
এ বিষয়ে তাকে বারবার নিষেধ করা হলেও রুবিনা উল্লেখিত ব্যক্তিদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। পরে উল্লেখিত বিষয়ে তিনি অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়াসহ অনৈতিক কাজের বিষয়ে মাননীয় সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাননীয় আইজিপি মহোদয় ও পুলিশ সুপার, মুন্সিগঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
মো. আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় রুবিনা সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানায় বদলি হলেও তার সহযোগীরা তাকে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির পাঁয়তারা করছে। আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সে কৌশলে তদবির করে মুন্সিগঞ্জে বদলী হয়ে চলে যায় এবং আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হই।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার নারী পুলিশ সদস্য রুবিনা জানান, সে আনোয়ার হোসেনের থেকে বিকাশে টাকা লেনদেন করে নাই। সে তার স্বামী নয়। বিয়ের কাগজ ভুয়া। মো. আনোয়ার হোসেন তাকে অপহরণ করেছে। সে আনোয়ারের বিরূদ্ধে কোন মামলা করছে কিনা জানতে চাইলে কোন উত্তর প্রদান করে নাই।

