মোঃ আনোয়ার হোসেন
গাজীপুর মহানগরীর সদরে এক তরুণীকে (২৬) ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণের বিরুদ্ধে মামলা হয় ৪ মাস আগে। দীর্ঘ সময়েও ওই আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত ও তাঁর স্বজনেরা মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে এই তরুণী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আজ রবিবার সকালে গাজীপুর সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের তিনি বিষয়টি জানান। মামলার আসামী কালীগঞ্জ থানার ভোলারটেক এলাকার আমিনুল ইসলাম আমিনের ছেলে কামরুল হাসান রনি।
মামলা ও জিডি সূত্রে জানা যায়, আসামীর সাথে এই তরুণীর মোবাইল ফোনে পরিচয় ও কথাবার্তা হয়। একপর্যায়ে আসামী বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তীতে উক্ত আসামী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সদর থানা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এই তরুণীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আসামী দ্রুতই বিবাহ করবে মর্মে আশ্বাস দিয়ে বিবাহের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে আসামী বিবাহ করিতে অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী সদর থানায় এজাহার দায়ের করিলে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯(১) ধারায় সদর থানায় ১০(৩)২০২৫ নং মামলাটি রুজু করা হয়। কিন্তু পুলিশ অদ্যাবধি আসামীকে গ্রেফতার করতে পারে নি। এর ফলে আসামী ও তার লোকজন এই নারীকে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকী ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
ওই তরুণী সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করতে না পারায় আসামী ও তার লোকজন এই নারীকে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকী ভয়ভীতি প্রদান করছে। এর ফলে ভুক্তভোগী স্বাধীন মত চলাফেরা করতে পারছে না।
এসংক্রান্তে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মোঃ রাশেদুল জানান, আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। আসামী গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।