মোসাঃ রওশন আরা
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানা শিববাড়ী এলাকায় এক ভবনের ভাড়াটিয়া নারী (৩০) যৌন নিপীরনের শিকার হয়েছে। গত সোমবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযূক্ত ব্যক্তি হলো-মহানগরীর সদর থানার শিববাড়ী এলাকার নূরু মিয়ার ছেলে সিরাজ (৩৫)।
যৌন নিপীড়নের শিকার এই নারী গণমাধ্যমকে জানান, এই নারী তার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে এই ভবনের ভাড়া করা একটি কক্ষে বসবাস করে। অভিযূক্ত আসামী এই ভবনের মালিকের ছেলে একজন কু-চরিত্রের লোক। কিছুদিন যাবৎ এই নারীকে কু-দৃষ্টি দিয়ে আসছে এবং ভবনের সিডিতে ও ছাদে গেলে এই নারীর সাথে দেখা হলে সে বিভিন্ন প্রকার কুরুচিপূর্ণ শব্দ উচ্চারণ করা সহ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করত। এই নারী মান সম্মানের কথা চিন্তা করে এবং বাড়ীওয়ালার ছেলে দেখে বিষয়টি গোপন করত। এই নারীর স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘুমিয়ে থাকাকালে অভিযূক্ত ব্যক্তি ভাড়া বাসার দরজায় এসে নক করলে এই নারী সরল মনে দরজা খুললে কোন কিছু না বলেই জোরপূর্বক রুমের ভেতর প্রবেশ করতে চায়। একপর্যায়ে দরজা জোরে ধাক্কা দিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে এই নারীকে মারপিট করে তার অবৈধ যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে এই নারীকে জাপটে ধরে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নীপিড়ন করে। এসময় এই নারী ও তার ছেলেমেয়ের চিৎকার করলে পাশের রুমের ভাড়াটিয়াগণ সহ উক্ত বিবাদীর চাচা চাচিরা এগিয়ে আসলে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এবিষয়ে সদর থানার অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ মামলা রুজু করে নি।
এঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু না করা সংক্রান্তে গাজীপুর আদালতের এক আইনজীবী জানান, যেকোনো অভিযোগ পিআরবি ২৪৪(ক), ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা অনুযায়ী পুলিশ মামলার নিতে বাধ্য।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ভবনের ভাড়াটিয়া জানান, রাতে চিৎকার চেচামেচি শোনে বের হন। এসময় অভিযূক্ত ব্যক্তি এই নারীকে মারমুখী আচরণ করাসহ হুমকি ধামকি প্রদান করে।
এসংক্রান্তে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।